ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ || ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Biz Barta :: বিজ বার্তা
Place your advertisement here

আবার পেঁয়াজে ঝাঝ, এবার কারণ মিয়ানমার

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  


বিজবার্তা রিপোর্ট :

 

আগের বার পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য ভারত দায়ী থাকলেও এবার মিয়ানমার। ভারত রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেবার পর একলাফে কেজিকে দাম বাড়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তারপর বাজার কিছুটা সহণীয় হলেও, আবার বাড়ছে দাম। বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন, পেঁয়াজের দাম এবার বাড়ার কারণ মিয়ানমার। কারণ বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কারণে কয়েকদিন রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মিয়ানমার, তাতেই বেড়েছে দাম। 

 

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গেল ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক কর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলে বাজারে বাজারে অভিযান। 

 

তারপর দাম কিছুটা কমে আসে, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ টাকা। তবে, তিন দিন ধরে আবারও উর্দ্ধমুখী পেঁয়াজের দাম। সোমবার রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজি হয় ১০০ টাকা। 

 

খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাদের দাবী দেশি পেঁয়াজ এখনও উঠেনি। আমদানিকৃত পেঁয়াজও সংকট। তাই দাম বেশি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, অভিযোনের কারণে কয়েকদিন দাম কম ছিল, আবার বেড়েছে। তাদের দাবী আমদানি কম হচ্ছে।  

 

সোমবার সচিবালয়ে দামের এই ঊর্ধ্বগতির জন্য মিয়ানমারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কারণ দেখিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, এই পরিস্থিতি অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে। বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা রোববার পালিত হয়েছে। মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বৌদ্ধ। ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানের কারণে দুই থেকে তিন দিন তাদের রফতানি বন্ধ। তাই দুই-তিন দিনে দামটা বেড়েছে।

 

মন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমদানির প্রধান উৎস ছিল ভারত, সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হঠাৎ করে চাপ পড়েছে। মিয়ানমারের ঝামেলাও মিটে গেছে। সাপ্লাই শুরু হয়ে যাবে। তারপর অন্য জায়গা থেকেও আসবে পেঁয়াজ। ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ফলে মিয়ানমার থেকে কয়েকদিন আমদানি বন্ধ থাকলে তার প্রভাব ঢাকার বাজারেও পড়ার কথা নয় বলে স্বীকার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এ সুযোগটা নিচ্ছে। এটার প্রভাব পড়তে তো সময় লাগবে। কিন্তু সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেয়, সুযোগটা নেয় ব্যবসায়ীরা। এটা তো ঠিক কথা নয়। আমরা শক্ত অবস্থানে যাব। গুদামে পেঁয়াজ মজুত বন্ধে ব্যবসায়ীদের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন বলেও জানান টিপু মুনশি। এ মাসের শেষের দিকে ভারতও রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বদলাবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

 

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টনের মতো। দেশে উৎপাদনের পর ১০ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে। 


 


Place your advertisement here
Place your advertisement here
Place your advertisement here
Place your advertisement here