মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১  

‘কপ-২৪’ সম্মেলনে হতাশা

বিজবার্তা রিপোর্ট

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০২:০৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

ঢাকা : জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাত থেকে রক্ষায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কোন সুখবর আনেনি 'কপ-২৪' সম্মেলন। বৈশ্বিক উঞ্চতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস-এর মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতি দেয়নি কোন উন্নত দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরণ ৩০-৪০ শতাংশ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই।

সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে, চলতি মাসের শুরুতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের অর্জন তুলে ধরে স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা, ইক্যুইটি বিডি। বলা হয়, বাংলাদেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত ঝুঁকিতে থাকলেও জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বৈঠকে কোন আশ্বাস মেলেনি।

তবে, ঋণ দেবার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখায় কয়েকটি উন্নত দেশ, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। কপ সম্মেলনেই ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের ঘোষনা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা অনুদান নয়, মূলত ঋণ সহায়তা। বলা হয়, উন্নত দেশগুলো জোট হয়ে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে নিজেদের অর্থেই সংকট মোকাবেলায় উদ্যোগ নিতে হবে।

১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পোল্যান্ডে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের ১৯৬টি দেশের অংশগ্রহণে ‘প্যারিস রুলবুক’ নামে একটু খসড়া দলিল প্রণয়ন করা হয়। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কাঙ্খিত মাত্রার নিচে রাখার জন্য কার্বন নি:সরণ হ্রাস, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি, প্যাসির চুক্তি বাস্তবায়ন করা। কিন্তু ধনীদেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কপ সম্মেলনে অংশ নেয়া জলবায়ু বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আমিনুল হক। অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সম্মেলনের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র, সৌদীআরব, রাশিয়া, মিশর এবং কুয়েত স্বল্পোন্নত দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলাদা আলাদা ক্লোজ ডোর বৈঠক করে। সেখানেই পরামর্শ এবং হুমকি দেয়া হয়, যাতে ধনীদেশগুলোর মতের বাইরে না যায়। তিনি আরও বলেন, কপ-২৪ সম্মেলনে যে রুলবুক প্রণয়ন হয়েছে সেখানে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০০ বিলিয়ন ডলার দেবার প্রতিশ্রুতি নেই। অর্থাৎ সহায়তা থেকে কৌশলে তারা এড়িয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইক্যুইটি বিডি’র প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম চৌধুনী, সেন্টার ফর পার্লামেন্টারি রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট, সিপিআরডি’র সিইও মো. সামছুদ্দোহা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল হক।