রাজবাড়ীতে হলুদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী
বিজ বার্তা
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৯ রোববার
জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী : মশলাজাতীয় খাদ্যদ্রব্য হলুদের চাহিদা প্রচুর, দামও অন্য ফসলের চেয়ে ভালো। যে কারণে রাজবাড়ীতে দিন দিন হলুদের আবাদ বাড়ছে। এ বছর তাই ১৫ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ বেড়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে এ বছর পাঁচ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন শুকনা হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এ বছর প্রায় ২৯ কোটি টাকা মূল্যের হলুদ রাজবাড়ীতে উৎপাদিত হবে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা আলীপুর ইউনিয়নের হলুদ চাষি মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, হলুদ রোপণের পর তা উৎপাদন হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। তবে হলুদ চাষে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। সার ও কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় কম। প্রতি বিঘা জমি হলুদ চাষের জন্য খরচ হয় তাঁদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ মণ কাঁচা হলুদের উৎপাদন হয়।
তিনি বলেন, কাঁচা হলুদ প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি করা হয়। অনেকে আবার তা শুকিয়ে বিক্রি করেন। সাড়ে ৩ কেজি কাঁচা হলুদ শুকালে এক কেজি শুকনা হলুদ হয়। বর্তমানে প্রতি মণ শুকনা হলুদ বাজারে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। বাজারদর এমন থাকলে কৃষক লাভবান হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজবাড়ীতে আদা কাঠি, হরিণ পালিয়া ও ডিমলা জাতের হলুদের আবাদ বেশি হয়। এ বছর হলুদের আবাদ হয়েছে এক হাজার ৩২৫ হেক্টর, আর গত বছর আবাদ হয়েছিল এক হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেড়েছে। এ বছর হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন (শুকনা)।
পাঁচ হাজার টাকা মণ হিসেবে পাঁচ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন শুকনা হলুদের বাজারদর ২৯ কোটি টাকা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলুদের আবাদ হয়ে থাকে বালিয়াকান্দি ও সদর উপজেলায়। হলুদ বছরব্যাপী ফসল হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে কৃষকরা এর আবাদ করে থাকে। হলুদে তেমন কোনো ধরনের রোগবালাই নেই বললেই চলে। রাজবাড়ীতে সাধারণত আদা কাঠি, হরিণ পালিয়া ও ডিমলা জাতের হলুদের আবাদ বেশি হয়। ফলে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।