বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১  

টমেটোতে অনেক পুষ্টি 

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

বিজবার্তা রিপোর্ট :

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পুষ্টিকর সবজি টমেটো। এটিকে বিলাতী বেগুনও বলা হয়। টমেটো কাঁচা ও পাকা উভয়ই খাওয়া যায়। খাবারের সাথে সালাদের কথা আসলেই টমেটোর নামটাই সবার আগে মনে আসে। খাবারের সাথে টমেটোর সালাদ অতুলনীয়।


উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, এটি মূলত ফল হলেও বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সবজি, সালাদ ও স্যুপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। টমেটো শীতকালিন সবজি। তবে গ্রীষ্মকালেও টমেটোর চাষ হয়। বাংলাদেশের সব প্রায় জায়গাতেই টমেটোর চাষ হয়। সকলের পরিচিত এ সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়া, আমিষ ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি ।


জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মি. গ্রাম আঁশ, ০.২ মি. গ্রাম চর্বি, ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৪৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মি. গ্রাম ফসফরাস, ০.৬৪ মি. গ্রাম লৌহ, ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৭ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। টমেটোতে রয়েছে নানা পুষ্টি উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল । তাই টমেটো খেলে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে। রয়েছে ক্যালসিয়াম্ যা দাঁত এবং হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। 


এ সবজিটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ঠান্ডা লাগার হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ। নিয়মিত টমেটো খাওয়া চোখের জন্য উপকারি। দৃষ্টিশক্তিহীনতা এবং রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি এবং চোখকে সুস্থ রাখতে খুব সাহায্য করে। এছাড়া টমেটোতে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ।


টমেটো ক্যান্সার প্রতিরোধ, হৃদরোগে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। যারা সবসময় রোগা অবস্থায় থাকেন বা শরীর দুর্বল লাগে তারা সকাল বিকাল পাকা টমেটো সালাদ করে খান বা রস খান উপকার পাবেন। যাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কম তারা প্রতিদিন বড় মাপের একটি পাকা টমেটো নিয়মিত খান বেশ উপকার পাবেন। টমেটো খেলে পাকস্থলী ও অন্ত্র সুস্থ-সবল থাকে।


খাবারে অরুচি হলে টমেটো কেটে টুকরো টুকরো করে তাতে শুকনো আদা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয় যায়। এছাড়াও অর্শ্ব, জন্ডিস, পুরনো জ্বরে নিয়মিত টমেটো খেলে উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও টমেটোর রয়েছে নানা উপকারিতা। তাই সুস্থ সবল থাকতে চাইলে প্রতিদিন একটি করে টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।