বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১  

বিদ্যুৎ এখন উদ্বৃত্ত

বিজবার্তা রিপোর্ট :

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৫:৩৪ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২০ শনিবার

বাংলাদেশ এখন বলতে গেলে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত দেশের ৯৪ শতাংশ এলাকা। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দেবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

 

বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতার সময়ে সফলতার একটি খাত ধরা হয় বিদ্যুৎ খাতকে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্তের দেশ।

 

বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বিদ্যুৎ খাতে। হাতে নেওয়া হয় মেগাপ্রকল্প। ১১ বছরের ব্যবধানে দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২১ হাজার মেগাওয়াট। এক দিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার মেগাওয়াটও বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে দেশে।

 

বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে এখন বিদ্যুতের চাহিদা ৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা কম। দেশে বিনিয়োগ না হওয়ার পেছনে একসময় বিদ্যুৎ সংকটকে দায়ী করা হতো; সেখানে এখন শিল্পেও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। এখন এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে মানুষের জীবন।

 

সরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুেকন্দ্রের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭টি। ১০ বছরের ব্যবধানে দেশে এখন সরকারি ও বেসরকারি মিলে বিদ্যুকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৭টি। দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ এসেছে জ্বালানি গ্যাস থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট।

 

পিডিবি সূত্র বলছে, ২০০৯ থেকে প্রতিবছরই নতুন বিদ্যুতকেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে সরকার। দেশটি থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে।

 

এদিকে ২০২১ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে একটি মাস্টার পরিকল্পনা তৈরি করেছে সরকার।