বুলবুলের আঘাতে কৃষিতে সর্বনাস
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯
বিজবার্তা রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি। ঝড়ের প্রচন্ড দাপটে মাটিতে মিলে গেছে কাঁচাপাকা ধান। আর কয়েকটা দিন গেলেই ধান কেটে ঘরে আনার আশা করছিলেন কৃষক। কিন্তু সর্বনাশা ঝড়ে সব শেষ করে দিয়েছে। কোথাও নষ্ট হয়েছে পানের বরজ। কোথাও ভেসে গেছে মাছের খামার। এমন ক্ষতিতে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত।
রোববার ভোররাত থেকে কয়েক ঘণ্টা এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৬টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট হিসাব তাৎক্ষণিকভাবে করতে পারেনি সরকারি কোনো দপ্তর।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ১৬ জেলার দুই লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে রোপা আমন, খেসারি ও পানের বরজসহ রবি শস্য ও শীতকালীন সবজি রয়েছে ।
সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরিশাল, বরগুনা, ফেনী, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ১৬ জেলায় দুই লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে।
বলা হয়, এ সময়ে মাঠে রয়েছে প্রধানত রোপা আমন ফসল। রোপা আমনের মধ্যেই সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে খেসারি। এছাড়াও সরিষা, মাসকালাইসহ কয়েক ধরনের রবি ফসল এবং শীতকালীন সবজি ও পানের বরজ আক্রান্ত হয়েছে। কোনও জায়গায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিন দিনের বেশি পানি জমে থাকলে খেসারি মরে যাবে। আবার ছয়-সাত দিন যদি পানি জমে থাকে তাহলে ধান গাছও মরে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে সারা দেশে এবার ৬৯ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ঝড়ে আক্রান্ত ১৬ জেলায় চাষ হয়েছে ১৬ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে। ১৬ জেলায় আক্রান্ত হওয়া দুই লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ১০ শতাংশ জমির ফসল নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।