যে কারণে বিলম্বে শুরু হবে বাণিজ্য মেলা
বিজবার্তা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
ঢাকা : জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াগত কারণে দশ দিন বিলম্বের শুরু হচ্ছে ২৪তম ঢাকা আন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা। কোন ব্যতিক্রম না হলে, প্রতিবছরই জানুয়ারীর প্রথম দিনই শুরু হয় বাণিজ্য মেলার কার্যক্রম। উদ্বোধন করেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এবার ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা শুরুর দিনক্ষণ পিছিয়ে দিয়েছে ইপিবি।
ইপিবি সূত্র জানায়, বোর্ড সভায় ২৪তম বাণিজ্য মেলার প্রাথমিক দিন নির্ধারণ হয়েছে ৯ জানুয়ারী। তবে, নির্বাচন এবং নতুন সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয়াসহ আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ হবার পরই চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ হবে। মেলা যেদিনই শুরু হোক, ব্যপ্তি হবে এক মাস। দুর্যোগ এবং বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাড়ানো হয় মেলার সময়।
সরেজমিন রাজধানীর আগারগাঁও মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখাগেছে, জানুয়ারীর প্রথম দিন থেকে মেলা শুরু হলে নির্মাণ কাজে যে গতি আসতো, এখন তা নেই। তবে, মেলা প্রাঙ্গণে বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের অবকাঠামো নিমার্ণ কাজ শুরু করেছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান স্টিলের কাঠামো তৈরী করলেও আছে ভিন্নতা। কাঠ দিয়েও নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন অবকাঠামো।
ইটের ব্যবহার করেও নির্মাণ করছেন কেউ কেউ। শেরে বাংলা নগরে বিশাল এলাকা জুড়ে এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে, এখনও নির্মাণ হয়নি ইপিবি’র অফিস, পার্কসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা। ইট ব্যবহার করে প্রধান ফটক দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। তবে, প্রধান ফটক তৈরীর জন্য অবকাঠামো নিমার্ণ এখনও শুরু হয়নি।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানও প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। ওয়ালটন, হাতিল, আরএফএলসহ স্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানায়, প্রাথমিক ভাবে ১০ জানুয়ারী মেলা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওই দিনের আগেই সব নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মেলা প্রাঙ্গণের মধ্যে হাঁটাচলার রাস্তা এখনও ঠিক হয়নি। এখনও মাটি সমান করে ইট বেছানোর কাজ শুরু করেনি পিডব্লিউডি। তবে, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যেখান থেকে সার্বিক দিক তদারকি করবে আইন শৃংখলা বাহিনী।
সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিবি। তার মধ্যে থাকবে ১৮টি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন ৯টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬১টি। ফরেন প্যাভিলিয়ন ২৬টি; কিন্তু আবেদন বাড়লে সংখ্যা বাড়ানো হবে।
জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন হবে ২৯টি, রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন হবে ২৯টি, রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন সংখ্যা দাঁড়াবে ৬টি। এছাড়া প্রিমিয়ার মিনি প্যাভেলিয়ন হবে ৩৮টি, ফরেন মিনি প্যাভিলিয়ন হবে ৯টি। প্রিমিয়াম স্টলের সংখ্যা হবে ৬৯টি, ফরেন প্রিমিয়াম স্টল ১৩টি, জেনারেল স্টল দেয়া হবে ২১টি এবং ফরেন স্টলের সংখ্যা হবে ২২টি।
এবারের মেলায় ২০টি দেশের প্রায় ৪০টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে ইপিবি। প্রতিষ্ঠানটির সচিব জানান, দূতাবাসের মাধ্যমে জি টু জি ভিত্তিতে আবেদন আসছে, এগুলো বরাদ্দ দেবার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের চেম্বার অব কমার্স এবং ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগেও স্টল ও প্যাভিলিয়ন স্থাপনের আগ্রহ দেখানো হচ্ছে।